Monday, February 18, 2019

Cell Phone Holder for Car, Ainope Gravity Car Phone Mount Auto-Clamping Air Vent Car Phone Holder Universal Car Phone Mount Compatible iPhone Xs MAX/X/8/7, Galaxy Note 9/S9 Plus/S8/S7- Black (Divi)


[Stable and Firm] The three arms form a triangle, which will clamp your phone tightly and would not make any noise when sudden braking or driving on a rough road. The anti-Slip Clip with rubber pad lock the air vent firmly.

[Auto Lock & One Hand Operation] With gravity linkage design, you just need to put in or take out your phone with one hand, which will clamp it or release it automatically. It is super convenient and ensures safety while driving.
[Stylish and Elegant] The three clamping arms are made of aviation aluminum alloy which will keep your phone sturdier and won't be easily deformed. The scratch resistant surface will let your phone holder always look like new. The soft silicone pads on phone arms will also protect your phone from being scratched.
[Extensive Compatibility] Perfectly fit for all smart phones from 4 to 6 inches like iPhone X /8 /7 /6S /6 /Plus /5S, Samsung Galaxy S9/ S8 /S7 /S6 /Edge S6 /S5 /S4, Huawei Mate 10/ P10/ 9 Pro, LG G6/ G5/ V20 /G3. 【Please kindly know the maximum thickness is 0.43 inches, it may not suit the phone with thick case.】
[Worry-Free Warranty] Certificated by CE, FCC & RoHS, Ainope provides 12 month manufacturer 100% money back guara
ntee. Welcome to contact us if you have any question or concern.

https://www.amazon.com/Ainope-Gravity-Auto-Clamping-Universal-Compatible/dp/B07DQQ7CY2/ref=sr_1_3_sspa?s=wireless&ie=UTF8&qid=1550556705&sr=1-3-spons&keywords=mobile+holder+for+car&psc=1

দৌলতপুরে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ডাকাত নিহত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাত দলের দুই পক্ষের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪ টার দিকে উপজেলার ডাংমড়কা-আদাবাড়িয়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।


দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ডাংমড়কা-আদাবাড়িয়া মাঠের কাটাদহ নামক স্থানে দুই দল ডাকাতের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে গোলাগুলির শুরু হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ ও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ডাকাত সদস্যকে দৌলতপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ডাকাত হলো গরুড়া গ্রামের মছের উদ্দিনের ছেলে মুফাজ্জেল হোসেন মুফা (৪৫) ও কৈপাল গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মাহাবুল (৪২)।

আরও পড়ুন: আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

ওসি আরও জানান, এসময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। নিহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাই ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি এলজি, চার রাউন্ড গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে।

ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিরুদ্ধে ১৬ অঙ্গরাজ্যের মামলা


জরুরি অবস্থা জারির জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্য জোটবদ্ধ হয়ে এই মামলা করেছে। গতকাল সোমবার নর্দান ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে মামলাটি করা হয়। 

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ সংগ্রহে কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়ে গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। জরুরি ক্ষমতা বলে তিনি কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সামরিক নির্মাণ প্রকল্প বা দুর্যোগ তহবিল থেকে তাঁর চাহিদামতো অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।

Eprothom Aloক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেসেরা বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের অপব্যবহার ঠেকাতে তাঁরা বিষয়টি আদালতে তুলেছেন। কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে করদাতাদের অর্থ একতরফাভাবে হরণ করা থেকে ট্রাম্পকে থামাতেই এই মামলা করা হয়। প্রেসিডেন্টের অফিস কোনো নাট্যমঞ্চ নয়।

আদালতে দায়ের করা মামলায় জরুরি অবস্থার আওতায় ট্রাম্প যাতে কোনো কাজ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার নেতৃত্বে যে ১৬ অঙ্গরাজ্য মামলা করেছে, সেগুলো হলো কলোরাডো, কানেটিকাট, ডেলাওয়ার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, নিউইয়র্ক, ওরেগন ও ভার্জিনিয়া।

অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান রিপাবলিকান পার্টির। বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা ডেমোক্র্যাট।

শুক্রবার জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরই প্রথম একটি মামলা হয়। পাবলিক সিটিজেন নামের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আদালতে মামলাটি করে।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার পক্ষে সাফাই গেয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেছিলেন, জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি দেয়াল নির্মাণে ৮০০ কোটি ডলার পাবেন। দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংকটের মুখোমুখি। মাদক, চোরাচালান চক্র, অবৈধ লোকজনের প্রবেশ ঘটছে। এটা অগ্রহণযোগ্য। প্রত্যেকেই জানে, দেয়াল নির্মাণ করা হলে এতে কাজ হবে। তবে তাঁর ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদেশে স্বাক্ষর করে দিয়েছি, এখন আইনি লড়াই হবে।’

ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ছবি: এএফপি

দেয়াল নির্মাণের জন্য ৮০০ কোটি ডলার সামরিক নির্মাণ খাতের প্রকল্প থেকে নেওয়া হতে পারে। তবে ট্রাম্প যে পরিমাণ অর্থের কথা বলছেন, তা দেয়াল নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় থেকে অনেক কম। সীমান্তে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার দেয়াল নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।

সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে বাজেট ইস্যুতে বিতর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক ৩৫ দিন বন্ধ ছিল ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম (শাটডাউন)। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেয়াল নির্মাণে ৫৭০ কোটি ডলার না পেলে কোনো ধরনের বাজেট নথিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। তবে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ২৫ জানুয়ারি ফেডারেল সরকারের চাকা ফের সচল করেন ট্রাম্প। ফেডারেল সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ দেন তিনি। তাঁর দাবি অনুসারে কংগ্রেস অর্থ বরাদ্দ না দিলে ফের শাটডাউনের হুমকি দেন তিনি। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছালে ওই শাটডাউন ঠেকানো সম্ভব হয়। দুই পক্ষের সম্মতিতে কংগ্রেসে এ–সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়।

৬ দফা দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে নিয়ে আসাসহ ৬ দফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছে বাম সংগঠনগুলো। 

আজ সোমবার সকালে মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। বাম সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্রঐক্য এ কর্মসূচি পালন করছে। 

তাদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ পাহাড়ি সংগঠনগুলো। আগামী ১১ মার্চ বহুল প্রতিক্ষীত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। এদিকে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছে ছাত্রদল।

ভয়-ভীতিতেও দমানো যায়নি ছাত্রদের

১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাঙালি যেন নিজের রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিল। অগ্নি ঝরানো আন্দোলন গড়ে তুলবার প্রতীক্ষায় ছিল পুরো জাতি। সারাদেশে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরদিন প্রতিবাদের রূপ কী হয় এ নিয়ে একটা তুমুল আলোড়ন চলছিল মানুষের মনে। আর ছাত্ররা যারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তারা ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আজকের এই শোভিত শহীদ মিনার দেখে ১৯৫২ সালের এই দিনটির কথা উপলব্ধি করা যাবে না।
সেদিন ছাত্রদের আন্দোলনের প্রস্তুতির তীব্রতা ও অনমনীয় ভাব দেখে পূর্ববঙ্গ সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একমাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করে দেন। সরকারি এক নির্দেশে বলা হয়, ‘ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করিয়া একমাসের জন্য ঢাকা শহরে সভা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি নিষিদ্ধ করিয়াছেন। আদেশ জারির কারণ সম্পর্কে বলা হয়, একদল লোক শহরে সভা, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রয়াস পাওয়ায় এবং তদ্বারা জনসাধারণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। কোতয়ালী, সুত্রাপুর, লালবাগ, রমনা ও তেজগাঁও থানার অন্তর্গত সমুদয় এলাকায় ইহা প্রবর্তিত হইয়াছে।’ মূলত জনমনে ভীতি ও ত্রাস সঞ্চারের চিরাচরিত পন্থাই সরকার গ্রহণ করেছিল। তবে এসব ভয়-ভীতিতেও দমানো যায়নি ছাত্রদের।
সরকারের ১৪৪ ধারা প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ এর কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কর্মপরিষদের যে বৈঠক হয় সেখানে ১১-৪ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ছাত্ররা বিশেষ করে অলি আহাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ এর বিরোধিতা করে। অলি আহাদ বলেছিলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় যে ছাত্র সভা হবে তাতে ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে যদি রায় হয় তবে আমরা ভাঙার পক্ষে।’
এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক বলেন, অলি আহাদ, মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি গোলাম মওলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন এরা ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। ফজলুল হক হলের সহ-সভাপতি শামসুল আলম এদের সমর্থক ছিলেন।


আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে 'সুপারমুন'



'চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, উছলে পড়ে আলো' বাঁধভাঙ্গা চাঁদের হাসি দেখে যারা আপ্লুত-বিমোহিত হন তাদের জন্য আজ মঙ্গলবার রাতটি হতে যাচ্ছে স্মৃতির পটে অক্ষয় করে রাখার মতো।আজ সত্যি সত্যি চাঁদের হাসি বাঁধ ভাঙবে; উছলে পড়বে আলো। বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য অবলোকন করতে পারবে জগত্বাসী। মহাজাগতিক নিয়ম মেনে আজ চাঁদ চলে আসবে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি। চাঁদকে দেখা যাবে তার স্বাভাবিক আকৃতি থেকে কয়েকগুণ বড়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজ চাঁদ ওঠার কিছুক্ষণ পর পরই সুপারমুন দেখার সবচেয়ে সেরা সময়। আজকের সুপারমুনকে ‘পূর্ণ বরফ চাঁদ’ নাম দেয়া হয়েছে।কারন এখন পৃথিবীর বেশিরভাগ অঞ্চলে তুষারপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এমন নামকরন।
এ ছাড়া এ চাঁদকে স্ট্রোমমুন, হাঙ্গারমুন ও বোনমুনও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিট থেকে দেখা যাবে সুপারমুনকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজ প্রায় ১৪ শতাংশ বড় দেখাবে চাঁদকে। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে দেখা পাওয়া যাবে এ সুপারমুনের। এ বছরে বাকি তিন সুপারমুনের দেখা মিলবে যথাক্রমে আগামী ১২ জুলাই, ১০ আগস্ট ও ৯ সেপ্টেম্বর। আর এদের মাঝে শুধু আগস্ট মাসেই চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে।
উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের এই নিকটতম অবস্থানকে অনুভূ বা পেরিজি বলা হয়। এসময় চাঁদ পৃথিবী থেকে থেকে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৩৪ মাইল (৩ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারেরও কম) দূরত্বে অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০২ কিলোমিটার। সুপার মুনের ঔজ্জল্য থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে ১২ দশমিক ৫ ভাগ থেকে ১৪ দশমিক ১ ভাগ বেশি।
বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিত্সু চক্র জানায়, 'অনুভূ' সময়ের কাছাকাছি সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ প্রায় একটি সরল রেখায় অবস্থান করবে, সেই জন্য তখনই পূর্ণচন্দ্র হবে। দৃশ্যমান চাঁদের চাইতে বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। গবেষকরা চাঁদের এই অবস্থাকে বলেন অনুভূ পূর্ণচন্দ্র বা পেরিজি ফুলমুন। নাসা'র মতে পৃথিবীর সাথে চাঁদের দূরত্ব অনুসারে 'সুপারমুন' কতটকু বড় দেখাবে সেটা নির্ভর করে। যেমন সুপারমুনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে আমরা যে চাঁদকে দেখি, তার চেয়ে এই চাঁদ দেখতে হবে প্রায় ১৪ ভাগ বড় ও উজ্জ্বল্য হবে ৩০ ভাগ বেশি।
চাঁদের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পৃথিবীবাসী যেমন প্রহর গুনছেন, তেমনি রয়েছে 'সুপারমুন' আতংকও। চাঁদ পৃথিবীর কাছে আসলে প্রতিবারই পৃথিবীতে কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। প্রবল জোয়ারের টানে অনেক সময় ডুবে যায় জাহাজ।
২০১১ সালের ১৯ মার্চ 'সুপারমুন' রাতে ইংল্যান্ডের সোলেন্ট সাগরে ভাসমান ৫টি বড় জাহাজ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাগরের অতল গহ্বরে তলিয়ে যায়।
আগামী ২০২৬ সালের আগে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।শনিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’। এতে বলা হয়, আমেরিকা থেকে আজ ভোরের একটু আগে এবং ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে সূর্যাস্তের পর সুপারমুন দেখা যাবে।যদি কেউ সুপারমুন দেখতে চায়, তবে আজ সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কিন্তু যদি কেউ এদিন সুপারমুন দেখতে ব্যর্থ হয়, তবে আগামী সাত বছরের আগে আর দেখতে পারবে না।
টাইম অ্যন্ড ডেট ডটকমের মতে, সুপারমুন জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত টার্ম নয়। ১৯৭৯ সালে জ্যোতির্বেত্তা রিচার্ড নোলে প্রথমবারের মতো এটি ব্যবহার করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসা চাঁদকে ‘নতুন বা পূর্ণচাঁদ’ বলে সংজ্ঞায়িত করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার যে চাঁদটি আকাশে উঠবে তা ২০১৯ সালের দ্বিতীয় সুপারমুন। এর আগে ২১ জানুয়ারি চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। ২০ থেকে ২১ জানুয়ারির ওই চাঁদটিকে বলা হয়েছে ব্লাড ওলফ সুপারমুন। তা ছিল বেশ রক্তাভ, উজ্জ্বল। আজকের সুপারমুনটি রক্তাভ না হলেও তা হবে খুবই উজ্জ্বল

ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সনাতনী ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ এবার তিলোত্তমায়




ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পারস্পরিক সম্পর্ক ও সনাতন ঐতিহ্যের একখণ্ড ছোঁয়া এবার শহর তিলোত্তমায়। ফিউশন, কনটেম্পোরারি ও পপুলার ডান্স ফর্ম, গান ও নাটিকার মিশেলে এক অনবদ্য মঞ্চায়ন ‘স্যাফায়ার স্কোপ’। আইসিসিআরের ‘হরাইজন সিরিজ’ অনুষ্ঠানের অন্তর্গত এবং দুই দেশের (ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার) ঐতিহ্যমণ্ডিত সাংস্কৃতিক ও পারস্পরিক হৃদ্যতাকে মাথায় রেখেই সেটির মঞ্চায়ন হতে চলেছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আইসিসিআরের সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। অনবদ্য এই নৃত্যানুষ্ঠানের পুরোভাগে রয়েছে প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী তথা কোরিওগ্রাফার সুদর্শন চক্রবর্তী পরিচালিত ‘স্যাফায়ার ‘নৃত্যগোষ্ঠী’। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ও ঐতিহ্যর পাশাপাশি দুই দেশের ইতিহাসের ছোঁয়ার পরশও রয়েছে এই অনুষ্ঠানটিতে। বিশেষত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সনাতন ঐতিহ্যের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় ‘বাটিক’ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন নৃত্যশিল্পী উদয়শঙ্কর। এটির প্রভাব রয়েছে তাঁর নাচে এবং পোশাকেও। মিশে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ‘গেমল্যান’ মিউজিকও।


৭০ মিনিটের এই পারফরম্যান্সটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে স্যাফায়ার। প্রথমটি কালচার বা সংস্কৃতি। যেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। যার মধ্যে থাকবে অ্যাক্রো যোগ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মার্শাল আর্ট এবং বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার কবিতা। দ্বিতীয় ভাগটি হল কনভারসেশন বা কথোপকথন। এখানে রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’র কবিতার উপর পারফর্ম করা হবে। কীভাবে রবি ঠাকুরের কাজে প্রভাব ফেলেছিল ইন্দোনেশিয় সংস্কৃতি তাই তুলে ধরা হবে। তৃতীয় বা শেষ ভাগটি হল সেলিব্রেশন। ইন্দোনেশিয়ার সনাতন সংগীতের সঙ্গে আধুনিক কম্পোজিশনের মিশেলে প্রাপ্ত সুরের উপর নৃত্য প্রদর্শিত হবে এই ভাগে। তুলে ধরে হবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সৌহার্দ্যকে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির কোরিওগ্রাফি ও আর্টিস্টিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সুদর্শন চক্রবর্তী। ন্যারেশনে সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। নৃত্যে থাকবে ‘স্যাফায়ার’ নৃত্যগোষ্ঠীর ছাত্র—ছাত্রীরা।


প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে ভারতীয় সাংস্কৃতিক ও কূটনীতিক প্রতিনিধি দল হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার চারটি শহরে (বালি, জাকার্তা, ইয়োগাকার্তিয়া ও মেদান) ‘স্যাফায়ার স্কোপ’—র সাফল্যমণ্ডিত পারফর্ম করেছে ‘স্যাফায়ার’ নৃত্যগোষ্ঠী। ২০১৮—র ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর তাদের ২৩তম আন্তর্জাতিক সফরে স্যাফায়ারে ১০ জনের দলটি সেখানে সাতটির মতো শো করেছে। শুধু তাই নয়, এহেন যাত্রাপথে ইন্দোনেশিয়ার চারটি শহরের অডিটোরিয়াম, কমিউনিটি স্কুল, ইউনিভার্সিটি হল, পার্কের মতো বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে অনুষ্ঠান করেছে তারা। তালিকায় ছিল জাকার্তার মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলও। পারফর্ম করার পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ডান্সার, কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে ওয়ার্কশপেও অংশগ্রহণ করেছে স্যাফায়ারের এই ১০জন সদস্যের দলটি। এবার সেই ‘স্যাফায়ার স্কোপ’ই মঞ্চস্থ হতে চলেছে এই শহরে।


শহর তিলোত্তমায় অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার তথা স্যাফায়ারের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর সুদর্শন চক্রবর্তীর অভিমত, “ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এই দুই দেশের মধ্যে যোগসূত্র বহু প্রাচীন। রবিঠাকুর, উদয়শঙ্করের সময় থেকে এই সম্পর্ক, হৃদ্যতা এখনও পর্যন্ত একই রকম রয়েছে। বালিতে পারফর্ম করার সময় ভারত নিয়ে ওখানকার মানুষের আবেগ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশের ছোঁয়া পেয়েছি। এমনকী ইন্দোনেশিয়া বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের মধে্য কলকাতার প্রতি, দেশের প্রতি আবেগ, অনুভূতি কোনও অংশে আমাদের এখানকার মানুষের তুলনায় কম নয় এটা বুঝেছি। বালির ভারতীয় দূতাবাসের বাঙালি আধিকারিকের যে আতিথেয়তা ও হৃদ্যতার ছোঁয়া পেয়েছি তা আজীবন মনে রয়ে যাবে। আশা করি এখানকার সংস্কৃতিপ্রেমীরাও এই অনুষ্ঠানে দু’দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া পাবেন এই অনুষ্ঠানটিতে।”